চিকুনগুনিয়া রোগ - অনুচ্ছেদ

চিকুনগুনিয়া রোগ

চিকুনগুনিয়া শব্দটির অর্থ “বাঁকা হয়ে হাঁটা”। চিকুনগুনিয়া হচ্ছে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রমণ। এটি একটি আরএনএ ভাইরাস। ডেঙ্গু ভাইরাসের মতো এই ভাইরাসটিও এডিস মশার মাধ্যমে মানুষের মাঝে ছড়ায়, যা মূলত দিনের বেলায় কামড়ায়। চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত অধিকাংশ মানুষেরই কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। অতি সাধারণ উপসর্গগুলো হলো জ্বর এবং অস্থিসন্ধিতে ব্যথা। অন্যান্য উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে মাথা ব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, অস্থিসন্ধি ফোলা অথবা ফুসকুড়ি। সাধারণত কোনো ব্যক্তিকে সংক্রমিত মশা কামড়ানোর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই উপসর্গগুলো প্রকাশ পায়। চিকুনগুনিয়া রোগে সচরাচর মৃত্যু হয় না, কিন্তু উপসর্গগুলো অত্যন্ত পীড়াদায়ক ও অক্ষম করে দেওয়ার মতো হতে পারে। অধিকাংশ রোগীই এক সপ্তাহের মধ্যে আরোগ্য লাভ করে। যা হোক, কখনো কখনো অস্থিসন্ধি ব্যথা এক বছরের বেশি পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। শিশু, বয়স্ক এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় আক্রান্তদের ক্ষেত্রে চিকুনগুনিয়া রোগটির তীব্রতা আরও বেশি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া রোগটি নির্ণয় করা যেতে পারে। চিকুনগুনিয়া ভাইরাস প্রতিরোধ করার কোনো টিকা নেই, কিংবা চিকিৎসা করারও ঔষধ নেই। রোগীকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে এবং পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করতে প্রচুর তরল পানীয় পান করতে হবে। জ্বর এবং ব্যথা কমাতে কখনো কখনো হয়তো অ্যাসিটামিনোফেন বা প্যারাসিটামলের মতো ঔষধ সেবন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। যেহেতু চিকুনগুনিয়া তেমন প্রাণঘাতী কোনো রোগ নয়, আমাদের এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যে মশাটি এ রোগ ছড়ায় তা সম্পর্কে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।
Upgrade to Pro
Choose the Plan That's Right for You
Read More
Otvut https://otvut.com